ক্ষুদ্র পাথরে কৃষ্ণ এর মূর্তি অঙ্কন করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল বাঁকুড়ার শিল্পী

22nd August 2020 1:59 pm বাঁকুড়া
ক্ষুদ্র পাথরে কৃষ্ণ এর মূর্তি অঙ্কন করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল বাঁকুড়ার শিল্পী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ক্ষুদ্র পাথরে কৃষ্ণমূর্তি অঙ্কন করে ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে নজির গড়লেন  বাঁকুড়ার এক যুবক। সুক্ষ কাজে বিশাল নজির গড়ে তার শিল্পকে তুলে ধরেছে বাঁকুড়ার যুবক রৌনক । ভিন্ন ধরনের কাজেও নজির গড়া যায় তা প্রমাণ করে দেখালেন তালডাংরা থানার অন্তর্গত সাবড়াকোন অঞ্চলের আঠেরো বছরে যুবক রৌনক সীট।এক সূক্ষ পাথরের উপর ক্ষুদ্রতম কৃষ্ণমূর্তি এঁকে নাম লেখালেন ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে।এছাড়াও নেতাজী মূর্তি সহ বিভিন্ন মূর্তি ও একেছেন। তার এই সাফল্যে পরিবার সহ খুশির আমেজ সকলের মধ্যে।  ছোটবেলা থেকেই শিল্পকে ভালোবেসে আঁকা আঁকি , পেন্টিং নিয়ে পড়ে থাকতো রৌনক। বরাবরই নিখুঁত ভাবে নিজের সৃষ্টি নতুন কোনোভাবে ফুটিয়ে তুলত এই যুবক। এবারেও তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হইনি তার প্রয়াস এক নতুন রূপ ধারণ করে । 
সারাবিশ্ব যেখানে করোনা পরিস্থিতির শিকার সেখানেও থেমে থাকেনি তার শিল্পকর্ম । রাস্তায় পড়ে থাকা একটা পাথর খেলার ছলে কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে আসে রৌনক । তারপর তার ভাবনার প্রতিফলন ঘটাতে বেছে নেয় ওই সূক্ষ্মতম পাথরটিকে ।তার অভাবনীয় ভাবনার সহিত নিখুঁত প্রচেষ্টায় এক সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করে পাথরখানা।  পাথরটির উচ্চতা ১.৫ সেমি এবং বেধ ০.৮ সেমি প্রায় যেটাকে ভালোভাবে আমরা ধরতে পর্যন্ত পারি না তার উপর নিখুঁত মূর্তি অঙ্কন করলেন তিনি। ঘন্টাখানেক সময় খরচ করে তিলে তিলে গড়ে তুলেন এই "লিটল কৃষ্ণা"।   রৌনক বলেন, আমি ছোটো থেকেই শিল্প ভালোবাসতাম।শিল্পী হওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড়ো স্বপ্ন। শিল্প আমার জীবনে পেশা না হলেও সখ ও নেশা হয়ে সারাজীবনই থাকবে।রৌনকের মা বলেন,ছেলের এই সাফল্য আমরা খুবই খুশি।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।